সৌদি আরব একটি মধ্যপ্রাচ্যের সর্বভৌম আরব রাষ্ট্র। এই সৌদি আরবে তারা আরবীতে কথা বলে থাকে। এই দেশটি পৃথিবীর মধ্যে মুসলিম দেশ নামে পরিচিত। এই দেশটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় আরব দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসায় যেতে যাচ্ছে।
প্রতি বছরের সৌদি আরবের কোম্পানি থেকে বিভিন্ন দেশের শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। কোম্পানিতে অনেকগুলো পোস্টে তারা কাজের জন্য লোক নেয়। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে তারা কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করে। কিন্তু কত টাকা খরচ হবে কি করতে হবে সে সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তাদের।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা
অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা নাম সম্পর্কে কিছু জানেনা। সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা করতে কত খরচ হবে সে সম্পর্কে কিছু জানেনা। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার খরচ সম্পর্কে জানাবো। আপনার যদি কোন নিকট আত্মীয়-স্বজন থাকে তাহলে আপনি কম টাকার মধ্যেই কোম্পানির ভিসা করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা করতে চান তাহলে খরচ হবে ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত
বাংলাদেশ থেকে সবাই সৌদি আরবে কোন কোম্পানির ভিসায় যাওয়ার আগে বেতন সম্পর্কে জানতে চায়। সৌদি আরব কোম্পানির ভিসার অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে বেতন দিয়ে থাকে। কোম্পানির অনেকগুলো পোস্ট রয়েছে কষ্টের ক্যাটাগরিতে বেতন কম বেশি হয়। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক
এখন বাংলাদেশে দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা করে অনেক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। কারণ এজেন্সিরা সঠিক ভিসা দেওয়ার কথা বলে তারা সাধারণ মানুষদের কে প্রতারিত করতেছে । এবং অনেকেরই ভিসা কনফার্ম না করেই তাদেরকে বলছে ভিসা হয়ে গেছে। তারা এজেন্সিতে ভিসার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে। এবং অনেকেই সৌদি আরবে গিয়ে ভিসার সমস্যার কারণে আবার দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। আপনারা চাইলেই বিষয়ের সাথে সাথে আপনি আপনার পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে নিজের ভিসা নিজেই চেক করে নিতে পারবেন।
আপনার ভিসা সঠিক হয়েছে কিনা কোন কোম্পানির ভিসা হয়েছে সে সমস্ত সঠিক তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে ভিসা চেক করেই জানতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রথমে গুগল ক্রোমে প্রবেশ করতে হবে। ভিসা চেক করার তাদের নিজের ওয়েবসাইট রয়েছে (https://visa.mofa.gov.sa) আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে একটি পাসপোর্ট নাম্বার দিতে হবে। তারপর আপনার ভিসা টাইপ সিলেট করতে হবে। তাদের একটি ক্যাপচা দিবে সেই ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সর্বশেষ আপনি সাবমিট বাটন ক্লিক করলেই আপনার ভিসার সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
সৌদি আরবের আরামকো কোম্পানি ভিসা
অনেকগুলো কোম্পানির মধ্যে সৌদি আরবের আরামকো কোম্পানির অন্যতম জনপ্রিয়। সবাই এই আরবের আরম্ভ কোম্পানির নাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়। অনেকেই আছেন বাংলাদেশ থেকে এই আরামকো কোম্পানিতে ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন। এই আরম্ভ কোম্পানি প্রতিবছরে তারা শ্রমিক নিয়ে থাকে।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা আবেদন করতে চায়। সৌদি আরবে ক্লিনার বিষয়ে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে কোন এজেন্সির মাধ্যমে ক্লিনার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ক্লিনার ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে।
সৌদি আরবের বড় বড় মার্কেট, রেস্টুরেন্ট সহ গাড়ি পার্কিং এরিয়া গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বাংলাদেশ হতে কর্মী নিয়োগ করে থাকেন। আপনার যদি এ সকল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সৌদি আরব ক্লিনার ভিসায় যেতে পারেন। অন্যান্য কাজের ভিসার খরচের তুলনায় ক্লিনার ভিসার খরচ তুলনা হলো কিছুটা কম হয়ে থাকে।
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
এখন আপনাদেরকে সৌদি আরবের কোম্পানির নাম জানাবো। সৌদি আরবে স্বনামধন্য অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরবের বিভিন্ন কম্পানির নাম জানতে চায়। অনেকেই কোম্পানির ভিসা করার জন্য সৌদি আরবের ভালো কোম্পানির নাম জানতে চায়।
- আল খায়ের কোম্পানি।
- আলবদর কোম্পানি।
- আরমকো কোম্পানি।
- পেপসি কোম্পানি।
- ইনিশিয়াল কোম্পানি।
- আল ইমামা কোম্পানি।
- জুসুর ইমদাদ কোম্পানি।
- বলদিয়া কোম্পানি।
- আল মারাই কোম্পানি।
- সাসকো কোম্পানি।
- বিনলাদেন কোম্পানি।
সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত
এখন আপনাদেরকে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম সম্পর্কে আলোচনা করবো। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছে তারা ফ্রি ভিসার বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়। সৌদি আরবের কোন বাড়ির কাজ অন্যান্য কাজ তারা ফ্রি ভিসায় বলে থাকে। ফ্রী ভিসায় অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ফ্রী ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। আপনি ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাজেট থাকলে কোন এজেন্সির মাধ্যমে ফ্রি ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
এখন আপনাদেরকে জানাবো সৌদি আরবে কোন কাজে গেলে বেশি টাকা বেতন পাবেন। সবাই চায় বেশি টাকা বেতনের কাজ করার জন্য। অনেক মানুষ আছে তারা সৌদি আরবের ভিসা করে থাকে কিন্তু কি ভিসা করলে তারা বেশি টাকা বেতন পাবে সে সম্পর্কে জানে না। আপনি আমাদের এলাকার মাধ্যমে সৌদি আরবের কোন কোন কাজের বেতন বেশি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- ইলেকট্রিশিয়ান।
- কনস্ট্রাকশন।
- ড্রাইভিং।
- রেস্টুরেন্ট।
- আইনজীবী।
- ব্যাংকার।
- ডাক্তার।
সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনারা অবশ্যই পরিপূর্ণ বয়স হতে হবে। অনেক মানুষ আছে তাদের বয়স কম হওয়ার কারণে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন না। অনেকেই সৌদি আরব যাওয়ার বয়স সম্পর্কে জানতে চায়। বর্তমান সময়ে আপনি যদি সৌদি আরবের ভিসা করতে চান তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে। অর্থাৎ এনআইডি কার্ড অথবা পাসপোর্ট ২১ বছর না হলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
শেষ কথা
আপনারা যারা সৌদির কোম্পানির ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাচ্ছিলেন। অনেকেই আছেন বাংলাদেশ থেকে কোম্পানির ভিসা করতে খরচ কত হবে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা ২০২৪ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্ট পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে। আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ