ইসলামে ছোট বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ ও সঠিক শিক্ষার গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক। শিশুদের সাথে সুন্দর আচরণ, নৈতিক শিক্ষা, চারিত্রিক গুণাবলী, ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।
আর কম বেশি আমরা সকলেই প্রায় ছোট বাচ্চাদেরকে অনেক বেশি পছন্দ করি এবং তাদেরকে ভালবেসে থাকি। শুধু আমরা নই, স্বয়ং নবী করিম (সাঃ) নিজে শিশুদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন।
কারণ ছোট বাচ্চাদের প্রতি সহানুভূতি, তাদের প্রতি ভালোবাসা তাদেরকে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা পালন করে। তাই বর্তমান সমাজের ছোট বাচ্চাদের মানসিক বা শারীরিক উন্নতির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
যেমন আমাদের আশেপাশে অনেকেই ছোট বাচ্চাদেরকে ভালোবেসে ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি একটি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। যে স্ট্যাটাস গুলো অনেকেই ইসলামিক ভাবে উল্লেখ করতে চান। তাই আজকের আলোচনায় শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে।
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
প্রতিটা সমাজের ছোট বাচ্চারা হচ্ছে একটি অমূল্য রত্ন এবং সমাজের ভবিষ্যৎ। তাদের ছোট থেকেই ইসলামের শিক্ষা, আচার-আচরণ, নৈতিক মূল্যবোধ ও চারিত্রিক গুণাবলীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমেই পরবর্তী প্রজন্মের ভিত্তি গড়ে তোলা যায়।
যে কোন দেশের যেকোনো জাতির জন্য ছোট বাচ্চারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলেই সে যাতে অনেক বেশি উন্নত এবং শক্তিশালী হবে। তাই প্রতিটা শিশুকে ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই অনেকেই ছোট বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন ও ও তাদেরকে ইসলামের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখাতে অনেকেই Facebook সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস শেয়ার করে থাকেন। তাই আজকের সম্পূর্ণ পোস্টে চমৎকার ও বাছাই করা বেশ কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে।
০১
একটি সৎ সন্তান পৃথিবী এবং পরকালে বাবা-মায়ের জন্য আল্লাহর রহমত।”
০২
মুহাম্মদ (সাঃ) বাচ্চাদের ভালোবাসতেন,
তাঁদের সঙ্গে খেলতেন এবং তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।” 🤲
০৩
“যে সন্তান সৎ ও সৎপথে পরিচালিত হয়,
সে হবে বাবা-মায়ের জান্নাতের সোপান।” 🏰
০৪
ইসলামের সবচেয়ে সুন্দর উপহার,
একটি সৎ ও পরিশুদ্ধ সন্তান।”
০৫
যারা বড়দের সম্মান ও ছোট বচ্চাদের আদর স্নেহ করেনা,
তাদেরকে আমাদের নবী (স.) উম্মত বলে অস্বীকার করেছেন।
ছোট বাচ্চাদের নিয়ে স্ট্যাটাস
ছোট বাচ্চাদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করা এবং তাদেরকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া প্রতিটা সমাজের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চাদের সঠিক শিক্ষা ও পরিচর্যা তাদের জীবনে শান্তি, সাফল্য এবং আল্লাহর কাছ থেকে রহমত এনে দেয়।
এছাড়াও ছোট বাচ্চারা মহান আল্লাহর একটি বিশেষ দান। তাদের প্রতি ভালোবাসা, তাদেরকে স্নেহ করা ও সঠিক শিক্ষা প্রদান করা অপরিসীম। অনেকে ছোট বাচ্চাদেরকে অনেক বেশি পছন্দ করেন ও ভালোবাসেন। এবং তাদেরকে কিছু শিখানোর উদ্দেশ্যে অনেকে কথা ও বাণী বলে থাকেন।
তাই আপনিও যদি শিশুদেরকে কিছু শেখাতে চান ও তাদেরকে নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস দিতে চান। তাহলে নিচ থেকে বাছাই করা বেশ কয়েকটি ইসলামিক স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে পারেন। এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
০১
যে বাবা-মা সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেয়,
তারা পৃথিবীতে একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকে।
০২
শিশুদের নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে হবে।
এটা খুব কঠিন, কিন্তু এটাই একমাত্র পথ
০৩
বাচ্চাদের না মেরে,
বুঝিয়ে সৎ পথে আনার চেষ্টা করুন।
০৪
শিশুরা হচ্ছে এমন কিছু হাত,
যার দ্বারা আমরা স্বর্গ স্পর্শ করতে পারি। – হেনরি ওয়ার্ড বিচার
০৫
বাচ্চাদের আগে কুরআন শিক্ষা দিন,
তারপর দুনিয়ার শিক্ষা দিন।
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
ইসলামে কন্যা সন্তানকে বিশেষ এক মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এবং কন্যা সন্তান প্রতিটা পিতা-মাতার জন্য এক বিশেষ উপহার। একটি কন্যা সন্তান পরিবারের সুখ শান্তি ও মর্যাদা বয়ে আনে। পূর্বে ও জাহেলিয়াতের যুগে কন্যা সন্তানকে অবহেলা করা হলেও ইসলাম তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং যত্ন প্রদর্শন করার কথা বলেছেন।
তাই আমাদের যাদের কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই উচিত মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। এবং সেই কন্যা সন্তানদেরকে নিয়ে যারা ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ইসলামিক ভাবে স্ট্যাটাস দিতে যাচ্ছেন। তারা চাইলে নিচে উল্লেখিত বাছাই করা কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে পারেন।
০১
মেয়েরা জান্নাতের পথের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ,
তাদের সঠিকভাবে শিক্ষিত ও পালন করা আমাদের দায়িত্ব।” 💕
০২
“যে বাবা-মা তাদের মেয়েকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন,
তারা আখিরাতে আল্লাহর রহমত পাবেন।” 🌙
০৩
“আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান পালন করবে
এবং তাদেরকে ইসলামিক শিক্ষায় বড় করবে, সে জান্নাতে যাবে।” 🕌
০৪
কন্যা সন্তান আল্লাহর তরফ থেকে রহমত,
তাকে সঠিকভাবে বড় করুন এবং ইসলামের পথে পরিচালিত করুন।” 🌷
০৫
“কন্যা সন্তান আল্লাহর একটি বিশেষ দান,
তাদের সঠিকভাবে পালন করলে তারা আখিরাতে আমাদের জন্য শাফায়াত করবে।” 💫
ছেলে সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
ইসলামে ছেলে সন্তানকে বিশেষ গুরুত্ব ও সম্মান দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের কে সঠিকভাবে পালন ও সঠিক নৈতিকতা শিক্ষার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে তাদেরকে ইসলামের আলোকে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
ছেলে সন্তানও মহান আল্লাহতালার একটি অমূল্য দান। যে সন্তান একটি পরিবার ও সমাজের সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রেও অনেকেই ছেলে সন্তান নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস শেয়ার করে থাকেন। তাই বেশ কিছু বাছাই করা ছেলে সন্তান নিয়ে স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে।
০১
একটি সৎ ছেলে সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে দান,
যে তার পিতা-মাতার জন্য সুখ এবং পরকালীন সাফল্য নিয়ে আসে।” 📖
০২
ছেলে সন্তান আল্লাহর অনন্য সৃষ্টি।
তাই ছেলে সন্তান জন্মের পর আল্লাহর কাছে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করাতে হয়। 🌟🌸🙏
০৩
যে বাবা-মা তার ছেলে সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালিত করে,
তারা আখিরাতে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করবে।” 🌟
০৪
রাসূল (সাঃ) বলেন, যার একজন নেক’কার ছেলে সন্তান রয়েছে,
এবং তার প্রতি সদাচরণ করেছেন, কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের ঢাল হিসাবে পাবে। 🕋🤲🔥
০৫
“যে মা-বাবা তাদের ছেলে সন্তানকে ন্যায়ের পথে পরিচালিত করেন,
তাদের জন্য আল্লাহর রহমত এবং জান্নাতের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।” 🌙
ছোট মেয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
ইতিমধ্যে বেশকিছু ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাছাই করা ও চমৎকার কিছু ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস নিচে তুলে ধরা হলো। যে স্ট্যাটাস গুলো সত্যিই ছোট বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা, স্নেহ প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
০১
“মেয়ে শিশুর হাসি এবং খেলার মধ্যে আল্লাহর রহমত এবং শান্তি থাকে।”
০২
“একটি ছোট মেয়ে আল্লাহর এক অমূল্য উপহার,
তার হাসি এবং চঞ্চলতা আমাদের জীবনে বরকত আনে।” 🌸
০৩
কন্যা সন্তান একজন বোন, মা, এবং ইসলামের এক আদর্শ মুসলিম হিসেবে বড় হবে,
যদি তাকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়।” 📖
০৪
“মেয়ে সন্তানকে আল্লাহর দয়া হিসেবে গ্রহণ করুন,
তার ভালোবাসা ও স্নেহ আমাদের ঈমানকে শক্তিশালী করে।” 💖
০৫
বাচ্চাদের কখনো বদদোয়া দিবেন না,
খারাপ পথে চললে আল্লাহকে হেদায়েত করতে বলুন।