বাংলাদেশের মধ্যে অতি সুপরিচিত হলো ডাচ বাংলা ব্যাংক। স্টুডেন্ট থেকে শুরু করে চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীরা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে। বিভিন্ন কারণে আমাদের ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে অনেক হয়রানি হতে হয়। সিরিয়াল ধরে সময় নষ্ট করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের থেকে টাকা উত্তোলন করতে হয়। এইজন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে যে কোন জায়গা থেকে আপনার একাউন্টে টাকা এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং চাকুরীজীবী রয়েছেন তারা এখন বিশেষ সুবিধার জন্য নেক্সাস কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। নেক্সাস কার্ডের অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার একাউন্টের টাকা বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে উত্তোলন করতে পারবেন। এ ধরনের সুযোগ সুবিধা ছাড়াও আরো অনেকগুলো নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করা যায়। আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা
বর্তমান সময়ে অতি জনপ্রিয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস কার্ড প্রায় সবাই ব্যবহার করে। বিশেষ করে যাদের টাকা লেনদেন করার দরকার পড়ে তারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করে থাকে। কারণ বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ বেশি পাওয়া যায়। যে কোন জেলায় উপজেলায় সব জায়গাতেই আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ দেখতে পাবেন। আপনার যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থাকে আপনি যে কোন জায়গায় গিয়েও নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবেন।
- ডাচ বাংলা নেক্সাস কার্ডের সাহায্যে যেকোনো ধরনের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, অনলাইন ভিত্তিক পেমেন্ট, এবং বিভিন্ন শোরুম থেকে কেনাকা*টা করতে পারবেন।
- যে সকল নেক্সাস কার্ডে ভিসা এবং মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক যে কোন দেশে গিয়ে ডলার কনভার্ট করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
- ডাচ বাংলা নেক্সাস কার্ড প্রথম এক বছর সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
- নেক্সাস কার্ড ব্যবহার করে আপনি অনলাইন ভিত্তিক টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
- এবং এই কার্ডের সাহায্যে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় থেকে এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
- নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সাহায্যে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
সবাই ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট করার পর নেক্সাস কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকে। আপনার একাউন্টে টাকা যখন খুশি তখন এটিএম বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি যদি ডাচ বাংলা নেক্সাস কার্ড পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এবং আপনাকে প্রমাণপত্র হিসাবে ডকুমেন্টসগুলো জমা দিতে হবে। একাউন্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিন্ন ধরনের যোগ্যতা লাগে। ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। এবং যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনাকে কলেজের অথবা স্কুলের আইডি কার্ড দেখাতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- টিআইএন সার্টিফিকেট।
- আপনার পাসপোর্টের কপি যদি থাকে।
- ব্যবসায়ী হলে আপনার ভিজিটিং কার্ড।
- গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- চাকরিজীবী হলে বেতনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- সর্বশেষ গ্যাস বিল অথবা কারেন্টের বিল এর কপি।
ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ড চার্জ
বেশি সুযোগ সুবিধা নিতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিছু চার্জ প্রদান করতে হবে। যারা অতি জনপ্রিয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লেনদেন করে থাকেন, কিন্তু বিশেষ সুবিধা নেওয়ার জন্য নেক্সাস কার্ড এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন। নেক্সাস কার্ড এর জন্য প্রতি বছরে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি টাকা চার্জ দিতে হবে। এবং ব্যাংক থেকে অটোমেটিক ভাবে আপনার একাউন্ট থেকে চার্জ কা*টা হবে। অনেকে রয়েছে ব্যবহার করলে কত টাকা চার্জ কাটে তথ্য জানেন না।
- ডাচ বাংলা নেক্সাস পে ডেবিট কার্ড এর চার্জ ভ্যাটসহ ৬৯০ টাকা।
- ডাচ বাংলা নেক্সাস প্রো ডেবিট কার্ড এর চার্জ ব্যাট সহ ১,০৯২.৫ টাকা।
শেষ কথা
অনেকেই নতুন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করে নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে চাচ্ছেন। কিন্তু নেক্সাস কার্ডের মাধ্যমে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় এবং কার্ড পেতে হলে কি যোগ্যতা লাগে এই তথ্যগুলো জানেন না। ইতিমধ্যেই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে নেক্সাস কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এ তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
আমি নেক্সাস ডেবিট কার্ড কি অন্য ব্যাংকের বুথে টাকা ড্র করতে পারব
আমার নেক্সাস পে কার্ড দিয়ে কি আমি ডলারে পেমেন্ট করতে পারব?
না