পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা বাংলাদেশ সরকারের পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। পাসপোর্ট বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পাসপোর্ট আবেদন এবং ডেলিভারি চার্জ হাতের নাগালেই রয়েছে। বর্তমানে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ হাজার টাকা খরচ করে বাংলাদেশ পাসপোর্ট তৈরি করা যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার তিন ক্যাটাগরির পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করছে। এগুলো হলো- সাধারণ পাসপোর্ট, অফিসিয়াল পাসপোর্ট এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট।
সাধারণ পাসপোর্ট বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য ও অফিসিয়াল পাসপোর্ট সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ইস্যু করা হয়।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশী পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীর পরিচয় নিশ্চিত করে। বর্তমানে পুরনো পাসপোর্ট এর পরিবর্তে ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা পাসপোর্ট এর ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। বর্তমানে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৫,৭৫০ টাকা লাগে।
৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৬৪ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট পাসপোর্ট তৈরি করা যায়। পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা অনুযায়ী পাসপোর্ট তৈরি করার খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। যেমন-
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ (২১ কর্মদিবস) ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
- জরুরি (১০ কর্মদিবস) ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
- অতীব জরুরি (২ কর্মদিবস) ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
- জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ১৮ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবে না।
৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
- জরুরি ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে-
- সাধারণ ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা।
- জরুরি ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
- অতীব জরুরি ফি ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম https://www.epassport.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
অতঃপর আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন করে একটি ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। পাসপোর্ট এর পরবর্তী আপডেট এই ইমেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
ই মেইল ভেরিফিকেশন করে ব্যক্তিগত তথ্য এবং ঠিকানা সঠিক ভাবে পূরণ করে সকল আইডি ডকুমেন্ট প্রদান করে পাসপোর্ট আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট এর আবেদন ফরমের সাথে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়। পাসপোর্ট এর ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে এ সকল কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন-
- পাসপোর্ট আবেদনের অনলাইন কপি (প্রিন্ট কপি)
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনের সামারি কপি (প্রিন্ট কপি)
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের এর ফটোকপি।
- পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার স্লিপ (প্রিন্ট কপি)
- নাগরিক সনদপত্র
- পূর্বে যদি পাসপোর্ট করেন তাহলে পূর্বের পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং মূল কপি।
আরও বিস্তারিত জানুনঃ পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশী পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে তা পাসপোর্ট এর ক্যাটাগরি, পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং পাসপোর্ট এর মেয়েদের উপর নির্ভর করে। পাসপোর্ট তৈরি করার নির্ধারিত ফি অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। তাই পাসপোর্ট অফিসের দালালের সাহায্যে পাসপোর্ট এর ফি প্রদান করা উচিত নয়। এতে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধন্যবাদ।