মালয়েশিয়া দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি। মালয়েশিয়া সর্বমোট ১৩ টি রাজ্য ও ৩ টি ঐক্যবদ্ধ প্রদেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার বাঙালি জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া যাচ্ছে। বর্তমানে সর্বমোট ১৫ টি ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাতায়াত করা যায়।
মালয়েশিয়া ই ভিসার ক্ষেত্রে ৩ মাসের সময় দেওয়া হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতে হবে।
অতঃপর মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর পুনরায় ভিসার মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হবে। উক্ত সময়ে মালয়েশিয়াতে পুনরায় মেডিকেল করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভিসার পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ প্রদান করা হবে।
মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক
অনলাইন এবং অফলাইন দুই ভাবেই মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করা যায়। অফলাইনের ক্ষেত্রে আবেদনকৃত ভিসা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া অ্যাপস এর মাধ্যমেও মালয়েশিয়া ই ভিসা স্ট্যাটাস চেক করা যায়।
অনলাইনে ই ভিসা চেক করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম মালয়েশিয়া ই ভিসা স্ট্যাটাস চেক https://malaysiavisa.imi.gov.my/evisa/vlno_checkstatus.jsp ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
অতঃপর পাসপোর্ট নাম্বার এর ফাঁকা ঘরে পাসপোর্ট নাম্বার এবং স্টিকার নাম্বারের ফাঁকা ঘরে স্টিকার নাম্বার বসাতে হবে।
পাসপোর্ট এবং স্টিকার নাম্বার বসিয়ে ওয়েবসাইটের ইমেজে থাকা ক্যাপচা কোড যথাস্থানে বসিয়ে I have obtained my eVISA. লিখার বাম পাশে টিক চিহ্ন তুলে দিতে হবে।
অতঃপর চেক বাটনে ক্লিক করলে কাঙ্খিত মালয়েশিয়া ই ভিসার যাবতীয় সকল তথ্য চলে আসবে।
মালয়েশিয়া ই ভিসা দাম কত
বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসা তৈরির খরচ পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২ থেকে ৩ বছরের ব্যবধানে ভিসা তৈরির খরচ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মালয়েশিয়া ভিসা তৈরির প্রসেস তুলনামূলক সহজ হলেও খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মালয়েশিয়া যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে।
বর্তমানে মালয়েশিয়া ই ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়া ভিসা তৈরির প্রসেস এবং খরচ কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়া ই ভিসা আবেদনের নিয়ম
মালয়েশিয়া ই ভিসার জন্য তিন ভাবে আবেদন করা যায়। প্রথমত বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয়ত এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে এবং তৃতীয়ত আমি প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এর প্রায় ৪২ টি কার্যালয় এবং ১১ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে অফিস সহকারীর সহায়তায় আবেদন করা যায়।
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে এজেন্সির সাহায্যে ফরম পূরণ করে আবেদন ফি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
সব থেকে সহজে আমি প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া ই ভিসার আবেদন করা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে আমি প্রবাসী অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। অতঃপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে সকল তথ্য যাচাইয়ের জন্য আবেদন পেন্ডিং থাকবে। আবেদন অনুমোদন হলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৩০০ টাকা আবেদন ফি প্রদানের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
শেষ কথা
এজেন্সি থেকে ভিসা আবেদন করলে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ভিসা আবেদনের পর ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। এজেন্সি দ্বারা প্রতারণার স্বীকার হলে উপযুক্ত প্রমাণ সহকারে বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ধন্যবাদ।