নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

প্রত্যেক ব্যক্তির নতুন জন্ম নিবন্ধন কোথায় গিয়ে আবেদন করতে হয়, এবং কোথা থেকে এই জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। অতঃপর কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয় তার বিস্তারিত একটি আলোচনা এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত জন্ম এ প্রক্রিয়া শেষ করতে কত টাকা খরচ হয়। এবং কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তার বিস্তারিত একটি তথ্য এখান থেকে জানতে পারবেন।

বাংলাদেশের বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে হয়, এজন্য অনলাইন করার পূর্বে বিভিন্ন জায়গা থেকে আবেদন করতে হয়। বিশেষ করে এই আবেদন আপনি আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সম্পন্ন করতে পারবেন।

এই জন্ম নিবন্ধন একজন ব্যক্তির দেশের নাগরিকত্বের প্রথম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে সাহায্য করে। ছোট থেকে বড় সবাইকেই এই জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। ইতিমধ্যে হয়তো অনেকেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন। আর যারা কখনোই জন্ম নিবন্ধনের জন্য নতুন আবেদন করেননি। তারা এই পোস্ট থেকে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত দেখে নিন।

Table of Contents

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

বাংলাদেশের জন্ম ও মৃ*ত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ২০০৪ সাল আনুসারে প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই জন্ম নিবন্ধন বলতে একজন নাগরিকের তথ্য আইনগতভাবে সরকারি ভাবে সরকারি খাতায় লিপিবদ্ধ করা।

অতঃপর যেমন নিবন্ধন পুরোপুরি অনলাইন করতে তার পূর্বে আবেদন প্রক্রিয়া কেউ যদি সম্পূর্ণভাবে না জেনে থাকেন তাহলে ভুল কোন তথ্য দিয়ে সমস্যায় পড়তে যাবেন না। অবশ্যই সঠিকভাবে এ সকল তথ্য সাবমিট করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন।

অতঃপর এই পোস্ট আপনাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ পোস্ট থেকে জেনে নিন কিভাবে নতুন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন। এবং নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র সমূহ লাগে। অতঃপর এই পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত দেখে নিন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

সর্বপ্রথম জেনে রাখু*ন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন অর্থাৎ নতুন ভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে প্রত্যেকেই এই(https://bdris.gov.bd/br/application) লিং*কে অথবা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকে। আপনাকেও নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে এই ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে।

অতঃপর উপরে দেওয়া উল্লেখিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার সঠিক নাম,সঠিক জন্ম তারিখ, আপনার পিতা-মাতার সঠিক তথ্য সাবমিট বা প্রদান হতে হবে। এক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির যাবতীয় সকল তথ্য এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে সাবমিট করতে হবে।

যদি আপনার সন্তান শিশু হয়ে থাকে, তাহলে সেই শিশুর নাম বাংলা এবং ইংরেজি এবং সঠিক জন্ম তারিখ দিয়ে ফাঁকা স্থানগুলো পূরণ করুন। এবং আপনার সন্তান পিতা-মাতার কততম সন্তান তার একই তথ্য এখানে উল্লেখ করতে হবে। অতএব এটা তো এভাবে বললে আপনাদের কাছে অনেকটা কঠিন মনে হতে পারে। তাই বিস্তারিত তথ্য জানতে এবং ধাপে ধাপে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে একদম শেষ পর্যন্ত দেখু*ন।

সঠিক নিয়মে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন

আরো একটি তথ্য জেনে রাখু*ন তা হচ্ছে জন্ম ও মৃ*ত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এর পরবর্তীতে কোন শিশুর জন্ম নিবন্ধন যদি ৪৫ দিনের মধ্যে না সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে তাহলে ৫ বছরের মধ্যেই করে নেওয়া উত্তম।

আর যদি কোনভাবে পাঁচ বছর অতিক্রম হয়ে যায় তাহলে অতিরিক্ত অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় এই জন্ম নিবন্ধন করতে। অতঃপর যারা ৫ বছরের অধিক বয়স,এখন পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি। তারা এই পোস্ট থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। অর্থাৎ বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সের শিশু থেকে শুরু করে ৫ বছরের অধিক।

অতঃপর যে কোন বয়সের ব্যক্তিদের এই জন্ম নিবন্ধন করতে যত সকল প্রক্রিয়া রয়েছে তা এখানে উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়া গুলো দেখে আপনারা নিজেরাই নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই শেষ পর্যন্ত এই পোস্ট বিস্তারিত পড়ুন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

কয়েক বছর পূর্বেও জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ভিত্তিক ছিল না। বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার জন্ম নিবন্ধনকে উন্নয়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ সকল আবেদন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে থাকে, এবং সকল তথ্য অনলাইনে ডাটা হিসেবে যুক্ত থাকে। যে কোন সরকারি কর্মকর্তা চাইলে কোন ব্যক্তির তথ্য খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন।

  • ইপিআই টিকা কার্ড বা হাসপাতালের ছাড়পত্র
  • হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা বা মাতার মোবাইল নম্বর

এছাড়া উল্লেখিত আবেদনকারীর বয়সের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের পার্থক্য দেখা দিতে পারে। তবে শিশুর বয়সভেদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। অথবা একটি শিশুর জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এমনকি ভয়েস অনুসারেও শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করতে কাগজপত্রের একটি তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।

বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সের শিশুর জন্ম নিবন্ধন

যেসকল শিশু নতুন জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনেকটা সহজ হবে। অর্থাৎ  খুব বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। এবং শিশুর জন্ম নেওয়ার কিছুদিন পর অর্থাৎ শূন্য থেকে 45 দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা উচিত। তাহলে জেনে নিন যাদের বাচ্চা থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত বয়স তাদের ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র লাগবে।

  • শিশুর টিকা দানের কার্ড / হাসপাতালের ছাড়পত্র লাগবে।
  • আপনার বাসা বাড়ির টেক্স টোকেন / কর পরিশোধের রশিদ লাগবে।
  • অভিভাবকের সচল মোবাইল নাম্বার লাগবে।
  • পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (অপশনাল)
  • পিতা মাতার আইডি কার্ড (অপশনাল)

শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন করতে যা যা লাগবে

এমনকি যে শিশুর বয়স ৪৬ দিন অর্থাৎ ১ মাসের উর্ধ্বে এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর বয়স। তাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যক্তিদের থেকে আলাদা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। আর এই তথ্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর জেনে নিন কোন কাগজ পত্র সমূহ ৪৬ থেকে ৫ বছর বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই কাগজপত্রের একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • শিশুর টিকা দানের কার্ড / হাসপাতালের ছাড়পত্র লাগবে।
  • বাসা বাড়ির টেক্স টোকেন / কর পরিশোধের রশিদ লাগবে।
  • পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর লাগবে।
  • পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)
  • পিতা মাতার এনআইডি কার্ড লাগবে।
  • প্রাথমিক বিদ্দালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

বয়স ৫ বছরের বেশি হলে

অতঃপর পাঁচ বছর সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সেই বাচ্চার ক্ষেত্রে একটু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো বেশি লাগে।  তাই প্রত্যেক পাঁচ বছর পূর্বের বাচ্চাদেরকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে দেওয়া।

যেহেতু বাচ্চার ৫ বছর  সম্পন্ন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একটু কাগজপত্রের ভিন্নতা লক্ষণীয় হতে পারে। অতএব দেখে নিন ৫ বছর বছরের ঊর্ধ্বে বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের ক্ষেত্রে  কোন কোন কাগজপত্রের দরকার হয়।

  • প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট।
  • চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র।
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)।
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)।
  • পিতা মাতার স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ।
  • অথবা জমি বা বাড়ি ক্রয় করার দলীল বা খাজনা প্রদানের রশিদ।
  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল। কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার নিয়ম ও ফরম

যদি জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে। যে ফর্মটি এই(https://bdris.gov.bd/br/application) লিং*কে প্রবেশ করলে পেয়ে যাবেন। অতএব এই আবেদন ফরম আপনাকে কোন প্রকার সংগ্রহ করতে হবে না।

এই অনলাইনে প্রবেশের ভিতরেই আপনি সকল তথ্য সাবমিট করতে পারবেন এই ফরমের মধ্যে। অতঃপর যারা নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা এখান থেকে খুব সহজেই করতে পারবেন। কেননা এই প্রক্রিয়া আপনাদেরকে খুব সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ছোট ছোট ধাপে উল্লেখ করেছি। অতএব শেষ পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি লক্ষ্য করুন।

নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা

সর্বপ্রথম আপনাকে এই(https://bdris.gov.bd/) লিং*কে প্রবেশ করতে হবে। যখন আপনার স্মার্টফোন কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ দিয়ে এই লিং*কে প্রবেশ করবেন। তখন নিচে দেওয়া ছবিটির মধ্যে একটি  ডিসপ্লে আপনার সামনে আসবে।

অতএব চিত্রে উল্লেখিত জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা রয়েছে। অতঃপর কোন ভাবে আপনি আবেদন করতে চান সেটি নির্বাচন করুন। এই তথ্য দেওয়ার পর ছবিটিতে উল্লেখিত নিচের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির তথ্য প্রদান

এরপরেই যে চিত্র আপনি দেখতে পারবেন তার একটি ডিসপ্লে নিচে উল্লেখ করেছি। নিচের দেওয়া ছবিটিতে আপনার নামের প্রথম অংশ বাংলা লিখতে হবে,আবার নামের শেষের অংশ বাংলায়।  একইভাবে নামের প্রথম অংশ ইংলিশে, আবার নামের শেষের অংশ ইংলিশে লিখতে হবে।

অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় আপনাকে ব্যক্তিগত এ সকল তথ্য এখানে উল্লেখ করতে হবে। তবে এখানেও লিখিত জন্ম তারিখ প্রথমে তারিখ তারপরে মাস এবং বছর এভাবে উল্লেখ করতে হবে। এবং জন্মস্থানের পর পরিবারে কততম সন্তান এবং পুরুষ নাকি মহিলা সেটি উল্লেখ করতে হবে। এককথায় লিঙ্গ নির্বাচন করতে হবে।

এবং আপনি কোন দেশে বসবাস করেন অর্থাৎ বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে হবে। আপনার জেলা, উপজেলা, আপনার ঠিকানা গ্রামের নাম ইত্যাদি সেখানে সঠিকভাবে লিখতে হবে। তবে সেখানে আপনাকে বাংলায় এবং ইংলিশে আলাদা আলাদা লিখতে হবে। অতঃপর সকল তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করার পর নিচের দেওয়া লাল বক্সে অর্থাৎ পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।

পিতা মাতার তথ্য প্রদান

এর পরবর্তী ধাপ খুবই সহজ। আপনার পিতা-মাতা তথ্য এখানে চাইবে। তাই আপনার পিতামাতার যত সকল তথ্য রয়েছে তার সঠিক তথ্য এখানে উল্লেখ করুন। এখনো ভাবেই আপনার পিতা-মাতা তথ্য ভুল করা যাবে না। এতে আপনার নিবন্ধনে সমস্যা হতে পারে অর্থাৎ ভুল হতে পারে।

অতএব এখানে আপনার পিতা-মাতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে সঠিকভাবে লিখতে হবে। এবং আপনার পিতা-মাতা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এখানে উল্লেখ করতে হবে। অতএব সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান– Present and Permanent Address

এরপরে নিচেরটা ছবিটি দেখতে পারবেন। সেখানে দুইটি যদি বক্স রয়েছে, যেখানে লেখা রয়েছে কোনোটিই নয়। অর্থাৎ এ সকল তথ্য ক্লিক করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এরপরে নিচের দেওয়া ছবিটির মত একটি দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমে আপনার স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে খুব নিখুত এবং সঠিকভাবে। যদি বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে প্রথমে বর্তমান ঠিকানায় এবং পরবর্তী স্থায়ী ঠিকানায় গোল ফাঁকা স্থান এর জায়গায় টিক চিহ্ন দিন।

আবেদনকারীর তথ্য

এক্ষেত্রে নিচের দেওয়া ছবিটিতে একটি নির্দেশনা দেখতে পারবেন। নির্দেশনাটি হচ্ছে ১৮ বছরের নিম্নে বয়স্ক তাহলে তাহার পিতা-মাতা আইনগত অভিভাবক হবেন। আর যদি আপনি ১৮ বছরের বয়সের উপরে থাকেন। তাহলে নিজ সিলেক্ট করে আবেদনকারী নাম এবং ফোন নাম্বার উল্লেখ করুন। অতঃপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ডকুমেন্টস আপলোড করুন

এভাবে আপনার প্রয়োজনে ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আর এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতএব ছোট বাচ্চার জন্য যদি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন উপরে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে টিকা কার্ডের স্কেন কপি অথবা জমি বা বাড়ির টেক্স প্রদানের রশিদ আপলোড করতে হবে।

আবেদন পত্র প্রিন্ট

অতঃপর আপনার আবেদন পত্র যদি সম্পন্ন হয়ে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকেই নিজে নিজেই প্রিন্ট করতে পারবেন। আপনি চাইলে আবেদনপত্র নাও প্রিন্ট করে রাখতে পারবেন। তবে আপনার এই আবেদন পত্রের নাম্বার সংগ্রহ করে রাখতে হবে। অতএব আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যে আপনি আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই  জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে পারবেন।

অথবা পৌরসভা থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।  এজন্য আপনার সেই নাম্বার এর প্রয়োজন হবে।  এবং এর যদি একটি আবেদনের প্রিন্ট কপি জমা  দিয়ে দেন তাহলে সেখানে অবস্থিত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুমোদন করে প্রিন্ট করে দিবে।

জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ

যদি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অথবা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে কার্যালয় থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। অথবা সংগ্রহ করার পর আপনার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর দিতে হবে। তাহলেই এই জন্ম নিবন্ধনকে আপনি বিভিন্ন জায়গা ব্যবহার করতে পারবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

জন্ম নিবন্ধন ফি

যদি কোন আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স পাঁচ বছরের উপরে হয়ে থাকে। তাহলে তার জন্য ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এবং বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। অতঃপর যে শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫দিন তাদের জন্য আবেদন ফ্রিতে করতে পারবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোন টাকার প্রয়োজন হবে না।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার নিয়ম

আপনার জন্ম নিবন্ধন কেন বাতিল করতে চাচ্ছেন তার একটি নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ অথবা পৌরসভা বা কাউন্সিলর অফিসে পৌঁছাতে হবে। এবং বাতিল করার জন্য আপনাকে Application ID জানতে হবে।

অতঃপর আপনার জন্মনিবন্ধনে যদি কোনো রকম ভুল হয়ে থাকে এবং বাতিল করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে নিবন্ধক কার্যালয়ে বাতিলের আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার জন্ম নিবন্ধনে তথ্যগুলো ভুল হয়েছে এজন্য বাতিল করেছেন তো পুনরায় আবার নতুন ফরম পূরণ করে আবার জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই

এরপর আপনার জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে কিনা অর্থাৎ অনলাইন ভিত্তিক হয়েছে কিনা তা জানার জন্য যাচাই বা চেক করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর যাচাই এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে এই(https://docs.google.com/document/d/1H-vlVxqUUCFD7tjZv_ph1VCuJUbE65f70GEJGyXRITk/edit)  লি*ঙ্কে প্রবেশ করতে পারেন। অথবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার এবং জন্ম তারিখ হলেই  আপনার যম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?

সাধারণত জন্ম নিবন্ধন ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পৌরসভা থেকে করা হয়ে থাকে। তবে ক্ষেত্রে সকল প্রক্রিয়া করতে পারবেন। এছাড়া উল্লেখিত সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে গিয়েও আপনি জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?

কোনভাবেই আপনি জন্ম নিবন্ধন দুইবার করতে পারবেন না। সর্বপ্রথম আপনি যে সকল তথ্য বা ডাটা অনলাইনে প্রবেশ করিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে সেই সকল তথ্য আপনাকেই প্রদর্শন করবে। অর্থাৎ এ সকল ডাটা প্রথমে আবেদন করার পূর্বে সেভ করে রাখা হয়। অর্থাৎ স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা এই পোস্ট থেকে অনেকটা উপকৃত হয়েছেন। সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছে আপনাদেরকে খুব সহজভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি বুঝিয়ে দেওয়ার। যদি এই পোস্ট আপনার কাছে উপকৃত মনে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top