কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

প্রতিনিয়ত কুয়েত অসংখ্য কোম্পানি গড়ে উঠছে। এ সকল কোম্পানি পরিচালনার জন্য কুয়েত পর্যাপ্ত শ্রমিক নেই।

যার ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কুয়েত হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতি বছরের শুরুর দিকে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত জানা থাকলে দালালের বিভ্রান্তিমূলক চক্রান্ত থেকে বাঁচা যায়। বর্তমানে কুয়েত একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ৪ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার উপরে হয়ে থাকে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কোম্পানিতে বিভিন্ন পদের চাকরি রয়েছে। কোম্পানিতে পদ অনুযায়ী বেতন কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন কাজ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে বেতন বৃদ্ধি পায়।

কুয়েত কোম্পানিতে একজন নিম্ন পদস্থ কর্মচারীর ন্যূনতম মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অপর দিকে কুয়েত কোম্পানিতে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ন্যূনতম মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৭০ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে কোম্পানির একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মচারী ও কর্মকর্তার ন্যূনতম মাসিক বেতন সর্বনিম্ন প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার উপরে হয়ে থাকে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা দাম কত

ভিসার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কুয়েত ভিসার দাম পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি ভিসার দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

বর্তমানে কুয়েত কোম্পানি ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে এজেন্সি অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হতে পারে।

এজেন্সির উপর ভিত্তি করে কুয়েত কোম্পানি ভিসার দাম সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

কুয়েত কোম্পানি ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে

বর্তমানে কুয়েত যেতে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। পূর্বে ৭ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে কুয়েত যাওয়া যেত।

তবে বর্তমানে সকল খরচ বৃদ্ধির কারণে কুয়েত যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৯ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

তবে সরকারি ভাবে অনেক কম খরচে কুয়েত যাওয়া যায়। সরকারি ভাবে কুয়েত যেতে প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।

কুয়েত কোম্পানিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে কুয়েতের অর্থনৈতিক অনেক উন্নত। যার ফলে কুয়েত অসংখ্য কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কুয়েত কাজ পেতে দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। কোম্পানির চাহিদা সম্পন্ন পদে দক্ষতা অর্জন করলে সহজে কাজ পাওয়া যায়।

এছাড়া কুয়েত কোম্পানিতে উচ্চ পদের চাকরি পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। তবে কুয়েত শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও অনেক চাহিদা সম্পন্ন কাজ পাওয়া যায়।

কুয়েত শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন কাজের মধ্যে ক্লিনার, ড্রাইভার, ডেলিভারি বয় ও লেবারের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ও ম্যানেজার পদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

কুয়েত কোন কাজের বেতন কত

বর্তমানে কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা চালু রয়েছে। আলাদা আলাদা কাজের জন্য আলাদা আলাদা বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। কনস্ট্রাকশন কাজের ক্ষেত্রে বেতন অল্প হলেও ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন মোটামুটি বেশ ভালো পরিমাণ হয়ে থাকে। নিচের অংশ থেকে কুয়েত কোন কাজের বেতন কত হতে পারে তার একটি ধারণা সংগ্রহ করুন।

  • ক্লিনার – ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।
  • ড্রাইভার – ৬৫,০০০ থেকে ১,৬০,০০০ টাকা।
  • কনস্ট্রাকশন কর্মী  – ৪৫,০০০ থেকে ১,২৫,০০০ টাকা।
  • টেইলার – ৫০,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা।
  • এসি টেকনিশিয়ান – ৫০,০০০ থেকে ১,৭৫,০০০ টাকা।
  • গাড়ি মেকানিক – ৫০,০০০ থেকে ১,২৫,০০০ টাকা।
  • ইলেকট্রিশিয়ান – ৫২,৫০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা।
  • মোবাইল মেকানিক – ৮৫,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা।

কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত

সত্যি বলতে কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। আপনি যদি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং কাজে খুব পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার বেতন ১ লক্ষ টাকার উপরে হতে পারে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ভিসার ক্ষেত্রে বেতন সর্বোচ্চ ২ লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কুয়েত সরকারি ভাবে কোম্পানি ভিসায় যাওয়ার জন্য সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। সরকারি ভাবে কুয়েত যাওয়ার চাহিদা বেশি হওয়ায় অনেক সরকারি কর্মকর্তা ঘুষ অফার করে থাকে। এ সকল কর্মকর্তা থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top